ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাতক্ষীরার শামীম হোসেন। বিএনপির আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা: হাসনাত আবদুল্লাহর অভিযোগ বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে এক চুক্তি ও পাঁচ সমঝোতা স্মারক সই। থালাপতি বিজয় ‘ফ্যাসিবাদী বিজেপি’ এবং মোদীর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছেন। রিজভী অভিযোগ: সাঈদীর বিরুদ্ধে হাসিনা মিথ্যা সাক্ষী তৈরি করেছিলেন” ইরানে অভিযান: ইসরায়েল সংক্রান্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ছয় সদস্য নিহত বার্নি স্যান্ডার্সের মন্তব্য, ট্রাম্পের হাতে ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের সুযোগ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক: বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে ৬ চুক্তি স্বাক্ষরের আভাস ২৫ আগস্টের মধ্যে লুটের পাথর ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দ্বিতীয়বারের মতো নারী বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।

রিফাইন্ড পাম অয়েল অধিকাংশ।

পাম অয়েলে রান্না করা খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর?

আফরোজা হোসেন ,নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৫:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এশিয়ায় সাধারণত ভাজাপোড়া জিনিস খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। সে জন্য পাম তেলে ভাজাভুজির স্বাদও হয় মুখরোচক। বিশেষ করে বেকড খাবার। পাম অয়েলে খাবার রান্না করলে সেই স্বাদ বদলানো যায় না। আর খাবার সুস্বাদু হয়। তাই পাম অয়েল দিয়ে রান্না করতে সবাই বেশি পছন্দ করেন। এ ছাড়া বাজারে যে কোনো ভোজ্যতেলের চেয়ে পাম অয়েলের দাম একটু কম। এ জন্য রেস্টুরেন্টসহ বাড়িতেও অনেকে রান্নায় পাম অয়েল ব্যবহার করে থাকেন।

কিন্তু সুস্থ জীবনযাপন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে— স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া। আর স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া অনেকটাই নির্ভর করে থাকে খাবারে ব্যবহৃত তেলের ওপর। আর প্রতিদিনের খাবারে ব্যবহৃত তেল আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে, সে বিষয়টি আমরা অনেকেই জানি না। যদিও পাম অয়েল দেশে রাস্তার ধারে হোটেল থেকে শুরু করে বড় বড় রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন বেকারিতে এ মুখরোচক খাবার তৈরি হয়ে থাকে।

কিন্তু পাম অয়েল আমাদের শরীরে কতটা প্রভাব ফেলে, তা অনুমান করতে পারি না। এটা যে আমাদের শরীরের জন্য ভালো না, সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই কারও। আর রিফাইন্ড পাম অয়েল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাইড্রোজেনেটেড অবস্থায় বাজারজাত করা হয়, যাতে ট্রান্স ফ্যাট তৈরি হয়। এই ট্রান্স ফ্যাট হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতার অন্যতম কারণ হতে পারে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক, পাম অয়েল আমাদের শরীরে কোন কোন ক্ষতি করতে পারে—

১. পাম অয়েলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আর অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে, যা আমাদের হৃৎপিণ্ডের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ছাড়া স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

২. আমাদের দেশে একই তেলে বারবার খাবারে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ভাজাপোড়ায়। আর পাম অয়েল বারবার গরম করলে ভিন্ন রকমের যৌগ তৈরি হয়। তাতে টক্সিন তৈরি হয়। এই তেল খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে এবং হজমজনিত সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৩. পাম তেলের অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণের ফলে লিভার ও ভিসারাল ফ্যাট জমাতে সাহায্য করতে পারে। যার ফলে ২ টাইপের ডায়াবেটিস হতে পারে। সেই সঙ্গে লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হয়ে থাকে, যা থেকে ফ্যাটি লিভার, লিভাল ফাইব্রোসিস— এমনকি সিরোসিসের মতো সমস্যাও তৈরি হতে পারে।

৪. পাম অয়েলে যে কোনো রান্না সুস্বাদু হয়। এতে খাবার বেশি খাওয়া হয়। আর খাবার বেশি খেলে শরীরের ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রিফাইন্ড পাম অয়েল অধিকাংশ।

পাম অয়েলে রান্না করা খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর?

আপডেট সময় : ০৫:৩৫:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

এশিয়ায় সাধারণত ভাজাপোড়া জিনিস খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। সে জন্য পাম তেলে ভাজাভুজির স্বাদও হয় মুখরোচক। বিশেষ করে বেকড খাবার। পাম অয়েলে খাবার রান্না করলে সেই স্বাদ বদলানো যায় না। আর খাবার সুস্বাদু হয়। তাই পাম অয়েল দিয়ে রান্না করতে সবাই বেশি পছন্দ করেন। এ ছাড়া বাজারে যে কোনো ভোজ্যতেলের চেয়ে পাম অয়েলের দাম একটু কম। এ জন্য রেস্টুরেন্টসহ বাড়িতেও অনেকে রান্নায় পাম অয়েল ব্যবহার করে থাকেন।

কিন্তু সুস্থ জীবনযাপন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে— স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া। আর স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া অনেকটাই নির্ভর করে থাকে খাবারে ব্যবহৃত তেলের ওপর। আর প্রতিদিনের খাবারে ব্যবহৃত তেল আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে, সে বিষয়টি আমরা অনেকেই জানি না। যদিও পাম অয়েল দেশে রাস্তার ধারে হোটেল থেকে শুরু করে বড় বড় রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন বেকারিতে এ মুখরোচক খাবার তৈরি হয়ে থাকে।

কিন্তু পাম অয়েল আমাদের শরীরে কতটা প্রভাব ফেলে, তা অনুমান করতে পারি না। এটা যে আমাদের শরীরের জন্য ভালো না, সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই কারও। আর রিফাইন্ড পাম অয়েল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাইড্রোজেনেটেড অবস্থায় বাজারজাত করা হয়, যাতে ট্রান্স ফ্যাট তৈরি হয়। এই ট্রান্স ফ্যাট হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতার অন্যতম কারণ হতে পারে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক, পাম অয়েল আমাদের শরীরে কোন কোন ক্ষতি করতে পারে—

১. পাম অয়েলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আর অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে, যা আমাদের হৃৎপিণ্ডের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ছাড়া স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

২. আমাদের দেশে একই তেলে বারবার খাবারে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ভাজাপোড়ায়। আর পাম অয়েল বারবার গরম করলে ভিন্ন রকমের যৌগ তৈরি হয়। তাতে টক্সিন তৈরি হয়। এই তেল খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে এবং হজমজনিত সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৩. পাম তেলের অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণের ফলে লিভার ও ভিসারাল ফ্যাট জমাতে সাহায্য করতে পারে। যার ফলে ২ টাইপের ডায়াবেটিস হতে পারে। সেই সঙ্গে লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হয়ে থাকে, যা থেকে ফ্যাটি লিভার, লিভাল ফাইব্রোসিস— এমনকি সিরোসিসের মতো সমস্যাও তৈরি হতে পারে।

৪. পাম অয়েলে যে কোনো রান্না সুস্বাদু হয়। এতে খাবার বেশি খাওয়া হয়। আর খাবার বেশি খেলে শরীরের ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।