বাংলাদেশের ক্রিকেটে লেখা হয়েছে নতুন ইতিহাস। গত দুই যুগে যা পারেনি, এবার তা করে দেখিয়েছে সাকিব-মিরাজরা। প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাও দিয়েছে শান্তর দল। এমন অর্জনে ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রশংসায় ভাসছেন কোচিং স্টাফসহ সংশ্লিষ্ট সবাই।
রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের পেসাররা বেশ ভালো বোলিং করেছেন। তার জন্য অবশ্য সাবেক দুই বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড ও ওটিস গিবসনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তামিম। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘বড় কোনও জয়ের পর অনেক সময় মানুষ ছোট বিষয়গুলো ভুলে যায়। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটাররা যখন বিশ্বকাপ খেলতে ব্যস্ত ছিল, তখন টেস্ট দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার টাইগার্সের অধীনে অনুশীলন করেছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে সেখানে ক্যাম্প হয়েছে। সেখানে মুশফিক, মুমিনুল, মেহেদীরা ছিলো। এক থেকে দেড় মাসের এই ক্যাম্প হয়েছে স্থানীয় কোচদের তত্ত্বাবধানে। তাদেরও অনেক কৃতিত্ব আছে। এটা অনেক বড় ভূমিকা ছিল।’পাকিস্তানের উইকেটে নিজেদের আলাদা করে চিনিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানা, তাসকিন আহমেদ সবাই নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের সব কটি উইকেট নিয়েছেন পেসাররা। পেসারদের এমন সাফল্যে সাবেক দুই পেস বোলিং কোচকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তামিম।
‘এটা (রাওয়ালপিন্ডি) এমন একটা উইকেট ছিল, যেখানে আগে অনেক রান উঠেছে। পাকিস্তানের পেসাররা যতটুকু সুবিধা আদায় করতে পেরেছে, তার চেয়ে বাংলাদেশের পেসাররা বেশি সুবিধা পেয়েছে। এটা নিয়ে পেসারদের গর্ব করা উচিৎ। যারা আগে কোচ ছিলেন, তাদের কৃতিত্ব পাওয়া উচিৎ। এই পেস বোলিং ইউনিটকে এতো দূরে নিয়ে আসতে অ্যালান ডোনাল্ড ও ওটিস গিবসন কঠোর পরিশ্রম করেছেন।’ ২০২২ সালের মার্চে অ্যালান ডোনাল্ডকে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এ সময় জাতীয় দলের পেস বোলিং বিভাগের দারুণ উন্নতি চোখে পড়ে। ভারতে হওয়া বিশ্বকাপের পর তিনি দায়িত্ব ছাড়েন। অ্যালান ডোনাল্ডের আগে টাইগারদের পেস বোলিং কোচ ছিলেন ওটিস গিবসন। বাংলাদেশ দলের বর্তমান বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস। গত ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি এই দলের সঙ্গে আছেন।
পেসারদের সাফল্য নিয়ে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটের জন্য এটা অনেক বড় কিছু। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই বলে আসছি, পেসাররা ভালো করছে। তাসকিন উইকেট পায়নি, তবে ওর লাইন-লেংথ নিখুঁত ছিল। প্রথম টেস্টের পর আমি আসলে নিশ্চিত ছিলাম না যে নাহিদ রানা খেলবে কি না। শরিফুল চোটে না পড়লে হয়তো আমরা দ্বিতীয় টেস্টে নাহিদ রানাকে দেখতে পেতাম না। ওর গতি পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলেছে। অন্যদিকে হাসান নিজের সীমাবদ্ধতা জানতো। ও অন্য কিছু চেষ্টা করেনি। লাইন টু লাইন বোলিং করেছে, তাতে ও ফলও পেয়েছে।’