ডাকসু নির্বাচন।
ডাকসু নির্বাচনে তিন স্তরের নিরাপত্তা, ভোটকেন্দ্রে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে সেনাবাহিনী

- আপডেট সময় : ০৯:০৩:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে। ভোটের দিন নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে।
সকাল সাড়ে ১১টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত সভায় প্রধান রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন প্রচারণা উদ্বোধনকালে এ তথ্য জানান। তিনি প্রার্থীদের সঙ্গে আচরণবিধি এবং সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা করেন।
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক গোলাম রব্বানী জানান, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ভোটকেন্দ্রে থাকবে সেনাবাহিনীসহ তিন স্তরের নিরাপত্তা। প্রাথমিকভাবে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর সচেতন অংশগ্রহণেই নির্বাচন সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। ছাত্রদল প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান উল্লেখ করেন, ৪০ হাজার ভোটারের জন্য ৮টি কেন্দ্র যথেষ্ট নয়।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিবরণ:
- প্রথম স্তর: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রক্টোরিয়াল টিম ও ডিএনসিসির ২০০ সদস্য, যারা ৮টি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন।
- দ্বিতীয় স্তর: পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন।
- তৃতীয় স্তর: সেনা সদস্যরা ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে পাঁচ মিনিটের মধ্যে যে কোনো কেন্দ্র পৌঁছাতে সক্ষম হবেন এবং ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভোটের সাত দিন আগে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কোনো বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না। ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ক্যাম্পাসে শুধু বৈধ পরিচয়পত্রধারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার থাকবে।
ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণা চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর।