ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শাহবাগে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধে রুয়েট শিক্ষার্থীরা বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ: ‘পর্যটন শান্তির সোপান’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশে নানা আয়োজন শাহবাগে পুলিশ-প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত সচিবালয় গেটে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ফাঁকা গুলি ছোড়া হয় ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণা: ব্যানার ও ফেস্টুন সরানোর জন্য অতি জরুরি নির্দেশনা” গাজার হাসপাতাল হামলায় সাংবাদিক নিহত: ইসরায়েল দাবি করেছে তারা লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না। ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে: ছাত্রশিবিরের অভিযোগ জুলাই অভ্যুত্থান শুরুর প্রথম শহীদ আবু সাইদ হত্যার মামলা শুরু আজ শাহবাগে অবরোধে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা, সৃষ্টি হয়েছে জটিল যান পরিস্থিতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

গাজা হামলা

গাজার হাসপাতাল হামলায় সাংবাদিক নিহত: ইসরায়েল দাবি করেছে তারা লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না।

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • আপডেট সময় : ০৭:২২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজার নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় রয়টার্স ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) দুই সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে সেনাবাহিনী দাবি করেছে, নিহত সাংবাদিকরা হামলার লক্ষ্য ছিলেন না।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেন, “সামরিক কার্যক্রমের লক্ষ্য কেবল ছয়জন সশস্ত্র ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ছিল। আহত ও নিহত সাংবাদিকরা তাদের মধ্যে ছিলেন না।”

সোমবারের হামলায় মোট অন্তত ২০ জন নিহত হন। এদের মধ্যে রয়টার্সের ক্যামেরাম্যান হুসাম আল-মাসরি এবং এপির ফ্রিল্যান্সার মরিয়ম আবু দাগ্গা সহ মোট পাঁচজন সাংবাদিক ছিলেন। অন্যান্য নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ সালামা (আল জাজিরা), মুয়াজ আবু তাহা (ফ্রিল্যান্স) এবং আহমেদ আবু আজিজ (মিডল ইস্ট আই)। হামলায় রয়টার্সের ফটোগ্রাফার হাতেম খালেদ আহত হন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লিখিত বিবৃতিতে জানায়, হামলার অনুমোদন প্রক্রিয়া, ব্যবহৃত অস্ত্র ও মাঠপর্যায়ের সিদ্ধান্তে “কিছু ঘাটতি” চিহ্নিত হয়েছে। তাই এই বিষয়ে আরও তদন্ত করা হবে। সেনাপ্রধান হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে, হামাস ইসরায়েলের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ সশস্ত্র যোদ্ধা ছিলেন না। হামাস জানিয়েছে, যাদেরকে সশস্ত্র যোদ্ধা বলা হচ্ছে, তারা হাসপাতালের বাইরে এবং ভিন্ন সময়ে নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘটনাটিকে “দুর্ভাগ্যজনক ভুল” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

রয়টার্স ও এপি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নিহত সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারা দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহির দাবি জানিয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও দাবি করেছে, নাসের হাসপাতালের কাছে হামাস একটি ক্যামেরা ব্যবহার করে সেনাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল, যা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, সেই ক্যামেরা সংবাদ প্রচারের সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গাজা হামলা

গাজার হাসপাতাল হামলায় সাংবাদিক নিহত: ইসরায়েল দাবি করেছে তারা লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না।

আপডেট সময় : ০৭:২২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

গাজার নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় রয়টার্স ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) দুই সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে সেনাবাহিনী দাবি করেছে, নিহত সাংবাদিকরা হামলার লক্ষ্য ছিলেন না।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেন, “সামরিক কার্যক্রমের লক্ষ্য কেবল ছয়জন সশস্ত্র ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ছিল। আহত ও নিহত সাংবাদিকরা তাদের মধ্যে ছিলেন না।”

সোমবারের হামলায় মোট অন্তত ২০ জন নিহত হন। এদের মধ্যে রয়টার্সের ক্যামেরাম্যান হুসাম আল-মাসরি এবং এপির ফ্রিল্যান্সার মরিয়ম আবু দাগ্গা সহ মোট পাঁচজন সাংবাদিক ছিলেন। অন্যান্য নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ সালামা (আল জাজিরা), মুয়াজ আবু তাহা (ফ্রিল্যান্স) এবং আহমেদ আবু আজিজ (মিডল ইস্ট আই)। হামলায় রয়টার্সের ফটোগ্রাফার হাতেম খালেদ আহত হন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লিখিত বিবৃতিতে জানায়, হামলার অনুমোদন প্রক্রিয়া, ব্যবহৃত অস্ত্র ও মাঠপর্যায়ের সিদ্ধান্তে “কিছু ঘাটতি” চিহ্নিত হয়েছে। তাই এই বিষয়ে আরও তদন্ত করা হবে। সেনাপ্রধান হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে, হামাস ইসরায়েলের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ সশস্ত্র যোদ্ধা ছিলেন না। হামাস জানিয়েছে, যাদেরকে সশস্ত্র যোদ্ধা বলা হচ্ছে, তারা হাসপাতালের বাইরে এবং ভিন্ন সময়ে নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘটনাটিকে “দুর্ভাগ্যজনক ভুল” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

রয়টার্স ও এপি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নিহত সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারা দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহির দাবি জানিয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও দাবি করেছে, নাসের হাসপাতালের কাছে হামাস একটি ক্যামেরা ব্যবহার করে সেনাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল, যা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, সেই ক্যামেরা সংবাদ প্রচারের সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।