গাজা হামলা
গাজার হাসপাতাল হামলায় সাংবাদিক নিহত: ইসরায়েল দাবি করেছে তারা লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না।

- আপডেট সময় : ০৭:২২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
গাজার নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় রয়টার্স ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) দুই সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে সেনাবাহিনী দাবি করেছে, নিহত সাংবাদিকরা হামলার লক্ষ্য ছিলেন না।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেন, “সামরিক কার্যক্রমের লক্ষ্য কেবল ছয়জন সশস্ত্র ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ছিল। আহত ও নিহত সাংবাদিকরা তাদের মধ্যে ছিলেন না।”
সোমবারের হামলায় মোট অন্তত ২০ জন নিহত হন। এদের মধ্যে রয়টার্সের ক্যামেরাম্যান হুসাম আল-মাসরি এবং এপির ফ্রিল্যান্সার মরিয়ম আবু দাগ্গা সহ মোট পাঁচজন সাংবাদিক ছিলেন। অন্যান্য নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ সালামা (আল জাজিরা), মুয়াজ আবু তাহা (ফ্রিল্যান্স) এবং আহমেদ আবু আজিজ (মিডল ইস্ট আই)। হামলায় রয়টার্সের ফটোগ্রাফার হাতেম খালেদ আহত হন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লিখিত বিবৃতিতে জানায়, হামলার অনুমোদন প্রক্রিয়া, ব্যবহৃত অস্ত্র ও মাঠপর্যায়ের সিদ্ধান্তে “কিছু ঘাটতি” চিহ্নিত হয়েছে। তাই এই বিষয়ে আরও তদন্ত করা হবে। সেনাপ্রধান হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, হামাস ইসরায়েলের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ সশস্ত্র যোদ্ধা ছিলেন না। হামাস জানিয়েছে, যাদেরকে সশস্ত্র যোদ্ধা বলা হচ্ছে, তারা হাসপাতালের বাইরে এবং ভিন্ন সময়ে নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘটনাটিকে “দুর্ভাগ্যজনক ভুল” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রয়টার্স ও এপি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নিহত সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারা দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহির দাবি জানিয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও দাবি করেছে, নাসের হাসপাতালের কাছে হামাস একটি ক্যামেরা ব্যবহার করে সেনাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল, যা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, সেই ক্যামেরা সংবাদ প্রচারের সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।