ঢাকা ০১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঝিনাইদহে ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার, দেয়ালে লেখা হত্যার কারণ। প্রকাশ্যে এসে ডাকসুর নির্বাচনী লড়াইয়ে ছাত্রশিবির রাজউকের প্লট জালিয়াতি: শেখ হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ যাত্রীবেশে অটোরিকশা চালককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা, পালালো দুর্বৃত্তরা প্রায় ৪৮ হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করলে চরম সীমা লঙ্ঘন হবে: আরব আমিরাতের হুঁশিয়ারি ইতিহাসের বৃহত্তম নৌবহর গাজার পথে পটুয়াখালীর গলাচিপা মাদকবিরোধী অভিযানে ৫১ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। উজিরপুরে সওজের জমিতে বিএনপির পাকা কার্যালয়, আগে ছিল আ.লীগের টিনের অফিস হবিগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক

কিশোরগঞ্জ মেডিকেল কলেজে পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্ক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ সংবাদ দাতা।
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের নারী কর্মচারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ দীর্ঘদিন গোপন থাকলেও বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এক নারী নিজ বাড়িতে সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে বিষয়টি প্রকাশ করেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগের সারমর্ম

নারী কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, তিনি আউটসোর্সিং ভিত্তিতে প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টের ক্যাশ কাউন্টারে চাকরি করছেন। তিনি জানান, পরিচালক নিয়মিত তাকে অফিস কক্ষে ডেকে পাঠাতেন এবং যাওয়ার পর অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলতেন। ভুক্তভোগী বলেন, তাকে চাকরি হারানোর ভয় দেখানো হতো এবং প্রলোভন দেখিয়ে ব্যক্তিগত ও আর্থিক সুবিধা নিতেন।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, ডাঃ হেলিশ তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রস্তাব দেন এবং বাধ্য করার জন্য বিকাশের মাধ্যমে অর্থ দেন। তিনি উল্লেখ করেন, “তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছেন, বন্দুকের ভয় দেখিয়েছেন, আমার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন এবং চাকরিতে থাকতে আমাকে মানসিক চাপ দিয়েছেন।”

নারী কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সরকারি হাসপাতালে বিতরণের জন্য রাখা টিকেটও তিনি টাকা দিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য করেছেন এবং সেই সমস্ত টাকা পরিচালক নিজে আত্মসাৎ করেছেন।

কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পরিচালক ডাঃ হেলিশ রঞ্জন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনে কোনো মন্তব্য করেননি। কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ অভিজিত শর্ম্মা জানান, তার কাছে এখনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বিশ্লেষণ

ভুক্তভোগীর বর্ণনা অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই কর্মকাণ্ডে চাকরিজীবী নারীদের নিরাপত্তা ও সম্মানের সমস্যা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। বিশেষ করে হাসপাতালের একটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কর্তৃক এই ধরনের আচরণ নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ এবং প্রশাসনিক তদারকি না থাকায় আরও গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কিশোরগঞ্জ মেডিকেল কলেজে পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্ক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের নারী কর্মচারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ দীর্ঘদিন গোপন থাকলেও বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এক নারী নিজ বাড়িতে সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে বিষয়টি প্রকাশ করেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগের সারমর্ম

নারী কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, তিনি আউটসোর্সিং ভিত্তিতে প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টের ক্যাশ কাউন্টারে চাকরি করছেন। তিনি জানান, পরিচালক নিয়মিত তাকে অফিস কক্ষে ডেকে পাঠাতেন এবং যাওয়ার পর অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলতেন। ভুক্তভোগী বলেন, তাকে চাকরি হারানোর ভয় দেখানো হতো এবং প্রলোভন দেখিয়ে ব্যক্তিগত ও আর্থিক সুবিধা নিতেন।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, ডাঃ হেলিশ তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রস্তাব দেন এবং বাধ্য করার জন্য বিকাশের মাধ্যমে অর্থ দেন। তিনি উল্লেখ করেন, “তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছেন, বন্দুকের ভয় দেখিয়েছেন, আমার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন এবং চাকরিতে থাকতে আমাকে মানসিক চাপ দিয়েছেন।”

নারী কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সরকারি হাসপাতালে বিতরণের জন্য রাখা টিকেটও তিনি টাকা দিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য করেছেন এবং সেই সমস্ত টাকা পরিচালক নিজে আত্মসাৎ করেছেন।

কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পরিচালক ডাঃ হেলিশ রঞ্জন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনে কোনো মন্তব্য করেননি। কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ অভিজিত শর্ম্মা জানান, তার কাছে এখনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বিশ্লেষণ

ভুক্তভোগীর বর্ণনা অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই কর্মকাণ্ডে চাকরিজীবী নারীদের নিরাপত্তা ও সম্মানের সমস্যা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। বিশেষ করে হাসপাতালের একটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কর্তৃক এই ধরনের আচরণ নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ এবং প্রশাসনিক তদারকি না থাকায় আরও গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে।