আগস্টে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৯%
প্রবাসী আয়ে স্থিতিশীল ধারা: আগস্টে আয় ২৪২ কোটি ডলার।

- আপডেট সময় : ০৫:৩৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে
বিদায়ী আগস্ট মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্টে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর আগের বছরের আগস্টে এ আয় ছিল ২২২ কোটি ৪১ লাখ ডলার। ফলে বছরে বছরে প্রায় ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
তবে মাসিক হিসেবে কিছুটা কমতি রয়েছে। গত জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, যা আগস্টের তুলনায় বেশি।
২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রবাসী আয় বাড়ার ধারা লক্ষ করা যাচ্ছে। গত মার্চে দেশে এক মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল। এরপর আর কোনো মাসে ৩০০ কোটির বেশি আয় হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থ পাচার কমে আসা, হুন্ডি ব্যবসায় মন্দা এবং বৈধ পথে ডলার পাঠানোর ক্ষেত্রে স্থিতিশীল বিনিময় হার এ বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুটাও ইতিবাচক। জুলাইয়ে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ২৯ শতাংশ, ওই মাসে প্রবাসীরা পাঠান ২৪৭ কোটি ডলার।
ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এতে ডলারের ওপর চাপ কমছে এবং মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরছে। সরকারের দেওয়া প্রণোদনা ও হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানও এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সহায়তা করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি দেনা পরিশোধ শেষ হওয়া ও লেনদেন ভারসাম্যে উন্নতি হওয়ায় ডলারের চাপ কমেছে। একই সঙ্গে বিদেশি ব্যাংকগুলোর আস্থাও ফিরছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে এসেছিল ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয়, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ আয় দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে, টাকার মান রক্ষা করতে এবং আমদানি ব্যয় মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রবাহ ভালো থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৮ আগস্ট দিন শেষে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২৪ আগস্ট রিজার্ভ ছিল যথাক্রমে ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার ও ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।