ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরের চান্দনা কাঁচাবাজারে আগুন, ৩০–৩৫টি দোকান পুড়ে ছাই খরা, পানিসংকট ও অবহেলায় হুমকিতে উত্তরাঞ্চলের খাদ্যনিরাপত্তা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ৪১ রোহিঙ্গা। চাকসুর ভোটার তালিকায় আপত্তি জানানোর মেয়াদ বাড়ল ঝিনাইদহে ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার, দেয়ালে লেখা হত্যার কারণ। প্রকাশ্যে এসে ডাকসুর নির্বাচনী লড়াইয়ে ছাত্রশিবির রাজউকের প্লট জালিয়াতি: শেখ হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ যাত্রীবেশে অটোরিকশা চালককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা, পালালো দুর্বৃত্তরা প্রায় ৪৮ হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করলে চরম সীমা লঙ্ঘন হবে: আরব আমিরাতের হুঁশিয়ারি

প্রকাশ্যে এসে ডাকসুর নির্বাচনী লড়াইয়ে ছাত্রশিবির

আরোজা হোসেন
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে ইসলামী ছাত্রশিবির। তখনই জানা যায়, নেপথ্যে থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন কর্মসূচি ঠিক করা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মো. আবু সাদিক কায়েম। তিনি যে শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি, সেটিও তখন সামনে আসে। এখন অবশ্য তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক।

গণ-অভ্যুত্থানের পর গত এক বছরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাদিক কায়েম বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর এই পরিচিতি কাজে লাগিয়ে ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান সংহত করতে চাইছে শিবির। ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলের নাম ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। এই প্যানেলের ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী সাদিক কায়েম। তাঁকে কেন্দ্রে রেখেই মূলত প্রচার চালাচ্ছে সংগঠনটি।

শিবিরের প্যানেলের পাঁচজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শিবিরের নেতাদের মধ্যে সাদিক কায়েমের ভূমিকা বিশেষভাবে আলোচিত হওয়ায় সংগঠনের বাইরেও তাঁর পরিচিতি বিস্তৃত হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগ–দক্ষতাও ভালো। এ ছাড়া গত এক বছরে অনিয়মে জড়ানোর তেমন কোনো অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠেনি। সাদিক কায়েমের এই পরিচিতির জন্যই প্রচারের ক্ষেত্রে তাঁকে সামনে রাখা হচ্ছে।

অনলাইনে প্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন আবাসিক হলে সশরীর গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন শিবিরের প্রার্থীরা। তাঁরা নিয়মিত বিভিন্ন বিভাগ-ইনস্টিটিউটে যাচ্ছেন। ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ নামে ফেসবুক পেজ খুলে নিজেদের প্রচারের ভিডিও–ছবি নিয়মিত পোস্ট করছেন শিবিরের নেতারা। সেখানে সাদিক কায়েমের মুখটিই ঘুরেফিরে বেশি দেখা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ডাকসুর বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে শিবিরের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের বিভিন্ন কার্যক্রমও তুলে ধরার চেষ্টা করছে সংগঠনটি।

অনাবাসিক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন শিবিরের প্যানেলের প্রার্থীরা। ভোট নিয়ে এই প্যানেলের পাঁচজন প্রার্থীর দাবি হচ্ছে, গত এক বছরে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমূলক কাজ করেছে শিবির। যে কারণে তাদের একটি ‘ভোটব্যাংক’ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া মাদ্রাসা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশের ভোট তাঁরা পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘কোচিং’ করে আসা শিক্ষার্থীদের একটি অংশের ভোটও পাবেন তাঁরা। এর ফলে অন্য প্যানেলগুলোর চেয়ে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবেন বলে তাঁরা আশাবাদী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রকাশ্যে এসে ডাকসুর নির্বাচনী লড়াইয়ে ছাত্রশিবির

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে ইসলামী ছাত্রশিবির। তখনই জানা যায়, নেপথ্যে থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন কর্মসূচি ঠিক করা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মো. আবু সাদিক কায়েম। তিনি যে শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি, সেটিও তখন সামনে আসে। এখন অবশ্য তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক।

গণ-অভ্যুত্থানের পর গত এক বছরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাদিক কায়েম বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর এই পরিচিতি কাজে লাগিয়ে ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান সংহত করতে চাইছে শিবির। ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলের নাম ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। এই প্যানেলের ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী সাদিক কায়েম। তাঁকে কেন্দ্রে রেখেই মূলত প্রচার চালাচ্ছে সংগঠনটি।

শিবিরের প্যানেলের পাঁচজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শিবিরের নেতাদের মধ্যে সাদিক কায়েমের ভূমিকা বিশেষভাবে আলোচিত হওয়ায় সংগঠনের বাইরেও তাঁর পরিচিতি বিস্তৃত হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগ–দক্ষতাও ভালো। এ ছাড়া গত এক বছরে অনিয়মে জড়ানোর তেমন কোনো অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠেনি। সাদিক কায়েমের এই পরিচিতির জন্যই প্রচারের ক্ষেত্রে তাঁকে সামনে রাখা হচ্ছে।

অনলাইনে প্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন আবাসিক হলে সশরীর গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন শিবিরের প্রার্থীরা। তাঁরা নিয়মিত বিভিন্ন বিভাগ-ইনস্টিটিউটে যাচ্ছেন। ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ নামে ফেসবুক পেজ খুলে নিজেদের প্রচারের ভিডিও–ছবি নিয়মিত পোস্ট করছেন শিবিরের নেতারা। সেখানে সাদিক কায়েমের মুখটিই ঘুরেফিরে বেশি দেখা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ডাকসুর বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে শিবিরের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের বিভিন্ন কার্যক্রমও তুলে ধরার চেষ্টা করছে সংগঠনটি।

অনাবাসিক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন শিবিরের প্যানেলের প্রার্থীরা। ভোট নিয়ে এই প্যানেলের পাঁচজন প্রার্থীর দাবি হচ্ছে, গত এক বছরে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমূলক কাজ করেছে শিবির। যে কারণে তাদের একটি ‘ভোটব্যাংক’ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া মাদ্রাসা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশের ভোট তাঁরা পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘কোচিং’ করে আসা শিক্ষার্থীদের একটি অংশের ভোটও পাবেন তাঁরা। এর ফলে অন্য প্যানেলগুলোর চেয়ে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবেন বলে তাঁরা আশাবাদী।