সংবাদ শিরোনাম ::
ডাকসু নির্বাচন: নির্বাচনী বিতর্কে ভিপি প্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক।
- আপডেট সময় : ০৫:৫০:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত এক নির্বাচনী বিতর্কে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কে প্রার্থীরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও একাডেমিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলা, আবাসন সমস্যার সমাধান, শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতাসহ নানা বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রার্থীদের মূল প্রতিশ্রুতি
- আব্দুল কাদের (বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ): তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ তৈরি করতে চান। তার প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে আবাসন সমস্যার সমাধান, ভর্তি নীতিমালা সহজ করা এবং শিক্ষকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বাইরের রাজনীতি থেকে মুক্ত নয়, তাই একটি সঠিক রাজনৈতিক কাঠামো প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য একটি আসন বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে এবং প্রশাসনের সব পদে নিয়োগে স্বচ্ছতা আনা হবে।
- আবিদুল ইসলাম খান (ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল): তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘মুজিব নীতি বা আওয়ামী নীতি’ থেকে মুক্ত করে একটি নতুন একাডেমিক কাঠামো গড়ে তুলতে চান। তার প্রতিশ্রুতি হলো, শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া, তিনি আবাসন সমস্যার সমাধান এবং ডাকসুর উদ্যোগে বছরে দুই থেকে তিনবার ‘জব ফেয়ার’ আয়োজনের অঙ্গীকার করেন।
- সাদিক কায়েম (ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট): তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে এনে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। তার প্রতিশ্রুতিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা এবং দলীয় বিবেচনার বদলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষক মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করার কথা বলেন।
- উমামা ফাতেমা (স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য): তার প্যানেলের মূল লক্ষ্য হলো একটি স্বতন্ত্র ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন একাডেমিক ক্যাম্পাস তৈরি করা। তিনি ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং প্রতি বছর নিয়মিতভাবে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান। উমামা আরও বলেন, সিনেট ও সিন্ডিকেটে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো হবে এবং নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এক হলের নারী শিক্ষার্থীদের অন্য হলে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য হলে প্রবেশের সুযোগের কথা বলেন।
প্রার্থীদের এই প্রতিশ্রুতিগুলো শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে কতটা কার্যকর হয়, তা নির্বাচনের দিনই বোঝা যাবে।