ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙামাটিতে ট্রাস্ট ব্যাংকের মাসব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু বিএনপি নেতার স্ত্রীকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত শিক্ষক বরখাস্ত হয়েও নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন! আগামী ২১ ডিসেম্বর শুরু হবে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ, বললেন এমপি ব্যারিস্টার সুমন দিনাজপুরে সাপের কামড়ে পৃথক ঘটনায় তিন গৃহবধূর করুণ মৃত্যু পঞ্চগড়ে সাপের কামড়ে আহত নারী, জ্যান্ত গোখরা নিয়ে হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের অবরোধ,সাতরাস্তায় যান চলাচল বন্ধ বরগুনায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের আলোর মুখ দেখাচ্ছে ‘আরএসডিও’ শেরপুরে মাদক আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, এএসআইসহ আহত ৩

ডাকসু নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার বড় সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক ।
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে জাতির জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর হওয়া এই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনকে সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। বলা যায়, জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি ছিল সরকারের একটি টেস্ট কেস। নির্বাচনকে ঘিরে রাজবাড়ীর ঘটনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা জনগণকে উদ্বিগ্ন করেছিল। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়; সারাদেশের পরিস্থিতি এখানে প্রভাব ফেলে।

তবুও শেষ পর্যন্ত ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনগুলোর মধ্যে এবারের নির্বাচনকে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উৎসবমুখর বলা হচ্ছে। এর আগে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন ছিল ব্যাপক সমালোচিত, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

কিন্তু এবারের নির্বাচনে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়নি। নির্বাচনের আগে নীতিনির্ধারণী বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুস্পষ্টভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর ফলে প্রমাণ হলো— সরকার নিরপেক্ষ থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সুস্থ গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ তৈরি হয়।

কে জিতলো বা হারলো তা মুখ্য বিষয় নয়, বরং নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়াটাই ছিল প্রধান সাফল্য। যদি এ নির্বাচন পণ্ড হয়ে যেত, তাহলে জাতীয় নির্বাচন নিয়েও মানুষের সংশয় তৈরি হতো। ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য তা হতো বড় সুযোগ।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন প্রমাণ করেছে, বর্তমান সরকার চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম। এই পরীক্ষায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস “এ-প্লাস” পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ডাকসু নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার বড় সাফল্য

আপডেট সময় : ১১:২৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে জাতির জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর হওয়া এই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনকে সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। বলা যায়, জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি ছিল সরকারের একটি টেস্ট কেস। নির্বাচনকে ঘিরে রাজবাড়ীর ঘটনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা জনগণকে উদ্বিগ্ন করেছিল। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়; সারাদেশের পরিস্থিতি এখানে প্রভাব ফেলে।

তবুও শেষ পর্যন্ত ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনগুলোর মধ্যে এবারের নির্বাচনকে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উৎসবমুখর বলা হচ্ছে। এর আগে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন ছিল ব্যাপক সমালোচিত, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

কিন্তু এবারের নির্বাচনে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়নি। নির্বাচনের আগে নীতিনির্ধারণী বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুস্পষ্টভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর ফলে প্রমাণ হলো— সরকার নিরপেক্ষ থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সুস্থ গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ তৈরি হয়।

কে জিতলো বা হারলো তা মুখ্য বিষয় নয়, বরং নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়াটাই ছিল প্রধান সাফল্য। যদি এ নির্বাচন পণ্ড হয়ে যেত, তাহলে জাতীয় নির্বাচন নিয়েও মানুষের সংশয় তৈরি হতো। ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য তা হতো বড় সুযোগ।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন প্রমাণ করেছে, বর্তমান সরকার চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম। এই পরীক্ষায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস “এ-প্লাস” পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।