ঢাকা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গহীন জঙ্গলে ইউপিডিএফ’র গোপন আস্তানার সন্ধান: অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার হত্যা মামলার অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল ৭৩ পর্যবেক্ষক সংস্থার অনুমোদন, ঠিকানায় অস্তিত্ব নেই অনেকের! প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তারেক রহমান গৌরনদী ও আগলঝাড়ার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন জহির উদ্দিন স্বপন! খুব শিগগিরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আমিরাতে নতুন ভিসা নীতি: এআই বিশেষজ্ঞসহ চার ক্যাটাগরি চালু “পিআরের নামে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে জামায়াত” — কায়সার কামাল শারদীয় পূজা ঘিরে গুজব কমেছে, কঠোর নজরদারিতে এনটিএমসি দোহায় হামলার ঘটনায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

তিন জুমা পরিত্যাগের পরিণতি ও জুমার দিনের গুরুত্ব

  • আপডেট সময় : ০৮:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে
সংবাদ সমাচারের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুমার দিন মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। কোরআন ও হাদিসে এই দিনের মর্যাদা ও ফজিলত বারবার বর্ণিত হয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন—

“হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচাকেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে।” (সূরা জুমা, আয়াত : ৯)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

“মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।” (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৯৮)

জুমার নামাজ আদায়ের ফজিলত

আউস ইবনে আউস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন—

“যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করবে এবং মসজিদে ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাবে, হেঁটে গিয়ে ইমামের নিকটে বসবে, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকবে, তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে এক বছরের নফল রোজা ও এক বছরের নফল নামাজের সওয়াব লেখা হবে।” (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

তিন জুমা ত্যাগের ভয়াবহ পরিণতি

জুমার নামাজ ফরজ। অযথা তা পরিত্যাগ করা বড় গোনাহ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—

“যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে পরপর তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন।” (বুখারি, হাদিস : ১০৫২; মুসলিম, হাদিস : ১৯৯৯)

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন—

“যে ব্যক্তি পরপর তিন জুমা ত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল।” (মুসলিম)

কারা জুমার নামাজ থেকে অব্যাহতি পায়

হাদিসে এসেছে, চার শ্রেণির মানুষ জুমার নামাজ থেকে অব্যাহতি পাবে—

১. দাস,

২. নারী,

৩. অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু,

৪. মুসাফির ও রোগী। (আবু দাউদ)

সাহাবিদের সতর্কবাণী

  • হজরত উমর (রা.) বলতেন, “নামাজ ত্যাগকারী নির্ঘাত কাফের।” (বায়হাকি : ১৫৫৯, ৬২৯১)
  • হজরত আলি (রা.) বলেছেন, “যে নামাজ পড়ে না, সে কাফের।” (বায়হাকি : ৬২৯১)

উপসংহার

নামাজ মুসলিমের পরিচয় ও ঈমানের নিদর্শন। ফরজ নামাজ, বিশেষ করে জুমার নামাজ অবহেলা করা মারাত্মক গুনাহ এবং ঈমানের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই প্রতিটি মুমিনের উচিত জুমার দিন যথাসময়ে গোসল, প্রস্তুতি ও ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদে উপস্থিত হওয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

তিন জুমা পরিত্যাগের পরিণতি ও জুমার দিনের গুরুত্ব

আপডেট সময় : ০৮:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুমার দিন মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। কোরআন ও হাদিসে এই দিনের মর্যাদা ও ফজিলত বারবার বর্ণিত হয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন—

“হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচাকেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে।” (সূরা জুমা, আয়াত : ৯)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

“মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।” (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৯৮)

জুমার নামাজ আদায়ের ফজিলত

আউস ইবনে আউস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন—

“যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করবে এবং মসজিদে ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাবে, হেঁটে গিয়ে ইমামের নিকটে বসবে, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকবে, তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে এক বছরের নফল রোজা ও এক বছরের নফল নামাজের সওয়াব লেখা হবে।” (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

তিন জুমা ত্যাগের ভয়াবহ পরিণতি

জুমার নামাজ ফরজ। অযথা তা পরিত্যাগ করা বড় গোনাহ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—

“যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে পরপর তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন।” (বুখারি, হাদিস : ১০৫২; মুসলিম, হাদিস : ১৯৯৯)

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন—

“যে ব্যক্তি পরপর তিন জুমা ত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল।” (মুসলিম)

কারা জুমার নামাজ থেকে অব্যাহতি পায়

হাদিসে এসেছে, চার শ্রেণির মানুষ জুমার নামাজ থেকে অব্যাহতি পাবে—

১. দাস,

২. নারী,

৩. অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু,

৪. মুসাফির ও রোগী। (আবু দাউদ)

সাহাবিদের সতর্কবাণী

  • হজরত উমর (রা.) বলতেন, “নামাজ ত্যাগকারী নির্ঘাত কাফের।” (বায়হাকি : ১৫৫৯, ৬২৯১)
  • হজরত আলি (রা.) বলেছেন, “যে নামাজ পড়ে না, সে কাফের।” (বায়হাকি : ৬২৯১)

উপসংহার

নামাজ মুসলিমের পরিচয় ও ঈমানের নিদর্শন। ফরজ নামাজ, বিশেষ করে জুমার নামাজ অবহেলা করা মারাত্মক গুনাহ এবং ঈমানের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই প্রতিটি মুমিনের উচিত জুমার দিন যথাসময়ে গোসল, প্রস্তুতি ও ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদে উপস্থিত হওয়া।