ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙামাটিতে ট্রাস্ট ব্যাংকের মাসব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু বিএনপি নেতার স্ত্রীকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত শিক্ষক বরখাস্ত হয়েও নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন! আগামী ২১ ডিসেম্বর শুরু হবে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ, বললেন এমপি ব্যারিস্টার সুমন দিনাজপুরে সাপের কামড়ে পৃথক ঘটনায় তিন গৃহবধূর করুণ মৃত্যু পঞ্চগড়ে সাপের কামড়ে আহত নারী, জ্যান্ত গোখরা নিয়ে হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের অবরোধ,সাতরাস্তায় যান চলাচল বন্ধ বরগুনায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের আলোর মুখ দেখাচ্ছে ‘আরএসডিও’ শেরপুরে মাদক আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, এএসআইসহ আহত ৩

ঢামেকে প্রিয়ার গর্ভে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন নবজাতকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক ।
  • আপডেট সময় : ০২:০৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রিয়া নামের এক প্রসূতি। ওজন কম হওয়ায় তিনটি নবজাতককে ঢামেকের এনআইসিইউতে এবং বাকি তিনটিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ঢামেকের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে তিন ছেলে ও তিন মেয়ের জন্ম দেন তিনি।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের এক নম্বর ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবিদা সুলতানা বলেন, “গতরাতে প্রিয়া নামের এক নারী ভর্তি হন। আজ সকালে তিনি ছয়টি সন্তানের জন্ম দেন। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটি ‘বেবি’ বলা যায় না, এটি আসলে ২৭ সপ্তাহের ইনএবিটেবল অ্যাবরশন।”

তিনি জানান, এর আগে প্রিয়া একটি পূর্ণবয়স্ক শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি ডেলিভারির সময় মারা যায়। এবারের ছয় নবজাতকের মধ্যে তিনটির ওজন প্রায় ৯০০ গ্রাম এবং বাকি তিনটির ওজন প্রায় ৮০০ গ্রাম। বর্তমানে সবাই এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন এবং জীবিত আছে।

ডা. আবিদা সুলতানা আরও বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত ২৮ সপ্তাহকে ভ্রূণের জীবনোপযোগী সময় ধরা হয়। কিন্তু এই ডেলিভারি তার আগেই হয়েছে, ফলে শিশুদের প্রাণসংকট রয়েছে। ভাগ্যে থাকলে এবং উন্নত চিকিৎসার কারণে তারা বেঁচে যেতে পারে।

তিনি উল্লেখ করেন, একসঙ্গে ছয়টি সন্তান ধারণ স্বাভাবিকভাবে সম্ভব নয়। প্রিয়া ‘ফার্টিলিটি ওভুলেশন ইন্ডাকশন ড্রাগ’ সেবন করেছিলেন। এই ওষুধ সেবনে অনেক সময় একাধিক সন্তান ধারণ হয়, যা জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। আইভিএফের মতো চিকিৎসা পদ্ধতিতে সাধারণত অতিরিক্ত ভ্রূণ অপসারণ করা হয়, কিন্তু প্রিয়া সেই সুযোগ নেননি। ফলে ছয়টি ভ্রূণই বেড়ে ওঠে এবং জরায়ুর সীমিত ধারণক্ষমতার কারণে আগেভাগেই ডেলিভারি হয়েছে।

প্রিয়ার ননদাই বাবুল জানান, “আমরা নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে এসেছি। প্রিয়া আমার শ্যালক হানিফের স্ত্রী, যিনি কাতার প্রবাসী। এখানে চিকিৎসকেরা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঢামেকে প্রিয়ার গর্ভে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন নবজাতকরা

আপডেট সময় : ০২:০৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রিয়া নামের এক প্রসূতি। ওজন কম হওয়ায় তিনটি নবজাতককে ঢামেকের এনআইসিইউতে এবং বাকি তিনটিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ঢামেকের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে তিন ছেলে ও তিন মেয়ের জন্ম দেন তিনি।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের এক নম্বর ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবিদা সুলতানা বলেন, “গতরাতে প্রিয়া নামের এক নারী ভর্তি হন। আজ সকালে তিনি ছয়টি সন্তানের জন্ম দেন। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটি ‘বেবি’ বলা যায় না, এটি আসলে ২৭ সপ্তাহের ইনএবিটেবল অ্যাবরশন।”

তিনি জানান, এর আগে প্রিয়া একটি পূর্ণবয়স্ক শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি ডেলিভারির সময় মারা যায়। এবারের ছয় নবজাতকের মধ্যে তিনটির ওজন প্রায় ৯০০ গ্রাম এবং বাকি তিনটির ওজন প্রায় ৮০০ গ্রাম। বর্তমানে সবাই এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন এবং জীবিত আছে।

ডা. আবিদা সুলতানা আরও বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত ২৮ সপ্তাহকে ভ্রূণের জীবনোপযোগী সময় ধরা হয়। কিন্তু এই ডেলিভারি তার আগেই হয়েছে, ফলে শিশুদের প্রাণসংকট রয়েছে। ভাগ্যে থাকলে এবং উন্নত চিকিৎসার কারণে তারা বেঁচে যেতে পারে।

তিনি উল্লেখ করেন, একসঙ্গে ছয়টি সন্তান ধারণ স্বাভাবিকভাবে সম্ভব নয়। প্রিয়া ‘ফার্টিলিটি ওভুলেশন ইন্ডাকশন ড্রাগ’ সেবন করেছিলেন। এই ওষুধ সেবনে অনেক সময় একাধিক সন্তান ধারণ হয়, যা জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। আইভিএফের মতো চিকিৎসা পদ্ধতিতে সাধারণত অতিরিক্ত ভ্রূণ অপসারণ করা হয়, কিন্তু প্রিয়া সেই সুযোগ নেননি। ফলে ছয়টি ভ্রূণই বেড়ে ওঠে এবং জরায়ুর সীমিত ধারণক্ষমতার কারণে আগেভাগেই ডেলিভারি হয়েছে।

প্রিয়ার ননদাই বাবুল জানান, “আমরা নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে এসেছি। প্রিয়া আমার শ্যালক হানিফের স্ত্রী, যিনি কাতার প্রবাসী। এখানে চিকিৎসকেরা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”