ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙামাটিতে ট্রাস্ট ব্যাংকের মাসব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু বিএনপি নেতার স্ত্রীকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত শিক্ষক বরখাস্ত হয়েও নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন! আগামী ২১ ডিসেম্বর শুরু হবে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ, বললেন এমপি ব্যারিস্টার সুমন দিনাজপুরে সাপের কামড়ে পৃথক ঘটনায় তিন গৃহবধূর করুণ মৃত্যু পঞ্চগড়ে সাপের কামড়ে আহত নারী, জ্যান্ত গোখরা নিয়ে হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের অবরোধ,সাতরাস্তায় যান চলাচল বন্ধ বরগুনায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের আলোর মুখ দেখাচ্ছে ‘আরএসডিও’ শেরপুরে মাদক আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, এএসআইসহ আহত ৩

হাতিয়া(নোয়াখালী) সংবাদ দাতা

বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হামলায় ট্রলারডুবি, ভেসে প্রাণে বাঁচলেন ১৮ জেলে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

চরফ্যাশনে ট্রলার থেকে পড়ে কিশোরসহ দুই জেলের মৃত্যু

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর হাতিয়া উপকূলের বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হামলায় এমভি আবুল কালাম নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এরপর দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় ১৮ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার চরইশ্বর বাংলাবাজার ঘাটে উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিয়ে আসা হয়। তারা সবাই হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে গত রোববার বিকেলে নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে ঘটনাটি ঘটে। 

উপকূলীয় জেলেদের দাবি- দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আবারও বড় ধরনের প্রাণহানি ও ক্ষতির ঘটনা ঘটতে পারে।

উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, শুক্রবার সকালে ট্রলারটি মাছ ধরতে সাগরে যায়। হঠাৎ জলদস্যুরা তাদের ধাওয়া করে। ট্রলারটি দ্রুত পালানোর চেষ্টা করলে একপর্যায়ে জলদস্যুরা পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। পরে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ভগ্নাংশ ধরে ভেসে থাকেন তারা।

ট্রলারের মালিক আবুল কালাম কালু মাঝি বলেন, জলদস্যুরা ট্রলারটি ডুবিয়ে দেওয়ার পর সামান্য অংশ ভেসে ছিল। সেটি ধরে আমরা ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসেছিলাম। পরে অন্য উপজেলার দুটি ট্রলার আমাদের উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। কোটি টাকার সম্পদ চোখের সামনে সাগরে হারাতে হলো।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মৎস্য ব্যবসায়ী লুৎফুল্লাহিল নিশান বলেন, নদী ও সাগরে আবারও ডাকাতদের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। এতে জেলে ও বোট মালিকরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। উপার্জন বন্ধ হয়ে পরিবার-পরিজন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। আমরা জোর দাবি জানাই— উপজেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ড দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিক।

এ বিষয়ে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল নিঝুম দ্বীপ থেকে অনেক দূরে হওয়ায় আমাদের কিছুই করার ছিল না। আমাদের কাছে ভারী নৌযান না থাকায় গভীর সমুদ্রে অভিযান চালানো সম্ভব হয় না।

হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি ট্রলার ডাকাতির খবর পেয়েছি। জেলেরা অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিই। তবে এসব বন্ধে সম্মিলিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হাতিয়া(নোয়াখালী) সংবাদ দাতা

বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হামলায় ট্রলারডুবি, ভেসে প্রাণে বাঁচলেন ১৮ জেলে

আপডেট সময় : ০৬:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নোয়াখালীর হাতিয়া উপকূলের বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হামলায় এমভি আবুল কালাম নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এরপর দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় ১৮ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার চরইশ্বর বাংলাবাজার ঘাটে উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিয়ে আসা হয়। তারা সবাই হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে গত রোববার বিকেলে নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে ঘটনাটি ঘটে। 

উপকূলীয় জেলেদের দাবি- দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আবারও বড় ধরনের প্রাণহানি ও ক্ষতির ঘটনা ঘটতে পারে।

উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, শুক্রবার সকালে ট্রলারটি মাছ ধরতে সাগরে যায়। হঠাৎ জলদস্যুরা তাদের ধাওয়া করে। ট্রলারটি দ্রুত পালানোর চেষ্টা করলে একপর্যায়ে জলদস্যুরা পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। পরে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ভগ্নাংশ ধরে ভেসে থাকেন তারা।

ট্রলারের মালিক আবুল কালাম কালু মাঝি বলেন, জলদস্যুরা ট্রলারটি ডুবিয়ে দেওয়ার পর সামান্য অংশ ভেসে ছিল। সেটি ধরে আমরা ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসেছিলাম। পরে অন্য উপজেলার দুটি ট্রলার আমাদের উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। কোটি টাকার সম্পদ চোখের সামনে সাগরে হারাতে হলো।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মৎস্য ব্যবসায়ী লুৎফুল্লাহিল নিশান বলেন, নদী ও সাগরে আবারও ডাকাতদের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। এতে জেলে ও বোট মালিকরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। উপার্জন বন্ধ হয়ে পরিবার-পরিজন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। আমরা জোর দাবি জানাই— উপজেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ড দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিক।

এ বিষয়ে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল নিঝুম দ্বীপ থেকে অনেক দূরে হওয়ায় আমাদের কিছুই করার ছিল না। আমাদের কাছে ভারী নৌযান না থাকায় গভীর সমুদ্রে অভিযান চালানো সম্ভব হয় না।

হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি ট্রলার ডাকাতির খবর পেয়েছি। জেলেরা অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিই। তবে এসব বন্ধে সম্মিলিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।