শামুক-ঝিনুকের সাদা গালিচা, পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ

- আপডেট সময় : ০৯:৪৪:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটা সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত চরাঞ্চলে দেখা মিলেছে অসংখ্য সাদা শামুক ও ঝিনুকের খোলসের। চরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হাজারো খোলস যেন সাদা কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে উপকূলজুড়ে। মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদেরও নতুন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।
জোয়ার-ভাঁটার সময় সমুদ্রের ঢেউ এসব শামুক ও ঝিনুক তীরে ভাসিয়ে আনে। ফলে চরজুড়ে সৃষ্টি হয় অপূর্ব প্রাকৃতিক শোভা। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক এ দৃশ্য দেখতে আসছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি শেয়ার করছেন, যা কুয়াকাটার পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে দেখা যায়, গঙ্গামতিতে যাওয়ার পথে এবং কুয়াকাটার প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন স্থানে সাদা ঝিনুকের ছড়াছড়ি। পুরো উপকূল যেন রূপকথার কোনো সমুদ্রসৈকতের মতো রূপ ধারণ করেছে।
সংবাদ সমাচার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,
পর্যটকদের অনেকে বলছেন, এটি তাদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। খুলনা থেকে আসা তামান্না নামের এক পর্যটক বলেন, “এমন সুন্দর দৃশ্য আগে কখনও দেখিনি। চারপাশে সাদা ঝিনুক দেখে মনে হচ্ছে যেন রূপকথার কোনো সমুদ্রসৈকতে এসেছি।” একই জেলার পর্যটক তানভীর ও রুমানা দম্পতি জানান, “এ দৃশ্য আমাদের মুগ্ধ করেছে। ছবি তোলার জন্য একেবারে পারফেক্ট জায়গা। আমরা চাই এটি যেন অক্ষত থাকে।”
কুয়াকাটা পর্যটন ব্যবসায়ী হোসাইন আমির বলেন, প্রতিদিন শত শত পর্যটক এখানে ভিড় করছেন। এ সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রশাসনের সচেতনতা বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা অত্যন্ত জরুরি।
উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন (উপরা) সভাপতি কে এম বাচ্চু বলেন, প্রচুর ঝিনুক একসাথে তীরে ভেসে আসা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য ইতিবাচক হতে পারে। তবে যদি এদের মৃত্যু হার বেশি হয় তবে তা সমুদ্রের পানির মান বা জলবায়ু পরিবর্তনের ইঙ্গিতও হতে পারে। এজন্য গবেষণা প্রয়োজন।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব টোয়াক সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুশার জানান, এ দৃশ্য কুয়াকাটার পর্যটনে নতুন মাত্রা আনবে। সঠিক পরিকল্পনায় এটি পর্যটন প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানও বাড়বে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পর্যটকদের জন্য এ এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে কুয়াকাটার এই অনন্য আকর্ষণ দীর্ঘদিন অক্ষুণ্ণ থাকে।