ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গহীন জঙ্গলে ইউপিডিএফ’র গোপন আস্তানার সন্ধান: অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার হত্যা মামলার অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল ৭৩ পর্যবেক্ষক সংস্থার অনুমোদন, ঠিকানায় অস্তিত্ব নেই অনেকের! প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তারেক রহমান গৌরনদী ও আগলঝাড়ার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন জহির উদ্দিন স্বপন! খুব শিগগিরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আমিরাতে নতুন ভিসা নীতি: এআই বিশেষজ্ঞসহ চার ক্যাটাগরি চালু “পিআরের নামে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে জামায়াত” — কায়সার কামাল শারদীয় পূজা ঘিরে গুজব কমেছে, কঠোর নজরদারিতে এনটিএমসি দোহায় হামলার ঘটনায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে জোর দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে
সংবাদ সমাচারের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাসস, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে এখনই পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের দিকে এগোতে হবে। এতে দেশ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথে অগ্রসর হতে পারবে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ ও তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনে গুরুত্ব

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এখন সময় এসেছে বাংলাদেশকে গুরুত্বসহকারে বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানি বিবেচনা করার, যার মধ্যে বৃহৎ পরিসরে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন অন্যতম।” তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকার সামর্থ্য রাখে না।

পারমাণবিক প্রযুক্তির সম্ভাবনা

সম্মেলনে কার্ল পেজ বলেন, নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেম নির্ভরযোগ্য ও শূন্য-কার্বন বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। বিশেষ করে ভাসমান বা বার্জ-মাউন্টেড রিঅ্যাক্টর তুলনামূলক কম খরচে, কম রক্ষণাবেক্ষণে দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের শিল্প খাতের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, “পারমাণবিক শক্তি আজ আর উন্নয়ন অর্থায়ন সংস্থাগুলোর কাছে নিষিদ্ধ নয়। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ ইতিমধ্যেই এ প্রযুক্তি গ্রহণ করছে।” বাংলাদেশের উদ্ভাবনী সক্ষমতার কারণে দেশটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরে নেতৃত্ব দিতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

নতুন বিদ্যুৎনীতি

অধ্যাপক ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎনীতি প্রণয়ন করেছে, যাতে সৌর জ্বালানির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে পারমাণবিক জ্বালানি বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জীবাশ্ম জ্বালানির নির্ভরতা কমানো জরুরি

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা অবশ্যই এসব সুযোগ অনুসন্ধান করব। তবে প্রতিশ্রুতিশীল এসব প্রযুক্তি নিয়ে গভীর গবেষণা দরকার। কোনো সন্দেহ নেই—বাংলাদেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা দ্রুত হ্রাস করতেই হবে।”

উপস্থিতি

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে জোর দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

আপডেট সময় : ০৮:২৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাসস, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে এখনই পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের দিকে এগোতে হবে। এতে দেশ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথে অগ্রসর হতে পারবে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ ও তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনে গুরুত্ব

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এখন সময় এসেছে বাংলাদেশকে গুরুত্বসহকারে বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানি বিবেচনা করার, যার মধ্যে বৃহৎ পরিসরে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন অন্যতম।” তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকার সামর্থ্য রাখে না।

পারমাণবিক প্রযুক্তির সম্ভাবনা

সম্মেলনে কার্ল পেজ বলেন, নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেম নির্ভরযোগ্য ও শূন্য-কার্বন বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। বিশেষ করে ভাসমান বা বার্জ-মাউন্টেড রিঅ্যাক্টর তুলনামূলক কম খরচে, কম রক্ষণাবেক্ষণে দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের শিল্প খাতের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, “পারমাণবিক শক্তি আজ আর উন্নয়ন অর্থায়ন সংস্থাগুলোর কাছে নিষিদ্ধ নয়। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ ইতিমধ্যেই এ প্রযুক্তি গ্রহণ করছে।” বাংলাদেশের উদ্ভাবনী সক্ষমতার কারণে দেশটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরে নেতৃত্ব দিতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

নতুন বিদ্যুৎনীতি

অধ্যাপক ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎনীতি প্রণয়ন করেছে, যাতে সৌর জ্বালানির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে পারমাণবিক জ্বালানি বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জীবাশ্ম জ্বালানির নির্ভরতা কমানো জরুরি

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা অবশ্যই এসব সুযোগ অনুসন্ধান করব। তবে প্রতিশ্রুতিশীল এসব প্রযুক্তি নিয়ে গভীর গবেষণা দরকার। কোনো সন্দেহ নেই—বাংলাদেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা দ্রুত হ্রাস করতেই হবে।”

উপস্থিতি

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।