ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গহীন জঙ্গলে ইউপিডিএফ’র গোপন আস্তানার সন্ধান: অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার হত্যা মামলার অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল ৭৩ পর্যবেক্ষক সংস্থার অনুমোদন, ঠিকানায় অস্তিত্ব নেই অনেকের! প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তারেক রহমান গৌরনদী ও আগলঝাড়ার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন জহির উদ্দিন স্বপন! খুব শিগগিরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আমিরাতে নতুন ভিসা নীতি: এআই বিশেষজ্ঞসহ চার ক্যাটাগরি চালু “পিআরের নামে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে জামায়াত” — কায়সার কামাল শারদীয় পূজা ঘিরে গুজব কমেছে, কঠোর নজরদারিতে এনটিএমসি দোহায় হামলার ঘটনায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

ঢাকা মেডিকেলে আইসিইউর রোগী নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ৭

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে
সংবাদ সমাচারের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রোগী ভাগাভাগি নিয়ে আইসিইউ-এর রোগী ভাগাভাগা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর)  রাত ৯টার দিকে প্রথমে জরুরি বিভাগের সামনে এবং পরে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সামনে এ সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন- শাহাদাত গ্রুপের নওশাদ, আনিসুর রহমান, রিপু ও রিয়াজ এবং বিল্লাল গ্রুপের ইমন, বাঁধন ও সুমন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে বিল্লাল গ্রুপের কয়েকজন নওশাদকে মারধর করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে শাহাদাত গ্রুপের লোকজন এসে সমিতি ঘরের সামনে প্রতিপক্ষ ইমন, বাঁধন ও সুমনের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে ইমনের মাথায় কোপ লাগে এবং বাঁধনের হাত ভেঙে যায়।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের মালিক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমার চালক নওশাদকে প্রথমে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে আমি এলে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী জানান, মূলত আইসিইউ রোগী ভাগাভাগি ও বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর আগে শাহাদাত গ্রুপের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ রয়েছে।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মো. শিপন গণমাধ্যমকে বলেন, শাহাদাত গ্রুপ ঢামেক থেকে রোগী ভাগিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। এ নিয়ে ইমনসহ কয়েকজন আপত্তি করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সমিতি ঘরের সামনে হামলা চালান।

অভিযোগ অস্বীকার করে শাহাদাত বলেন, বুধবার রাতে জরুরি বিভাগের সামনে বিল্লাল, সুমন, নাসির, ইমন, দুলাল, শাফিনসহ আরও কয়েকজন আমাদের লোক নওশাদকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের মালিক আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে এলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও একপর্যায়ে মারামারি হয়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন,জরুরি বিভাগ ও সমিতি ঘরের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঢাকা মেডিকেলে আইসিইউর রোগী নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ৭

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রোগী ভাগাভাগি নিয়ে আইসিইউ-এর রোগী ভাগাভাগা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর)  রাত ৯টার দিকে প্রথমে জরুরি বিভাগের সামনে এবং পরে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সামনে এ সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন- শাহাদাত গ্রুপের নওশাদ, আনিসুর রহমান, রিপু ও রিয়াজ এবং বিল্লাল গ্রুপের ইমন, বাঁধন ও সুমন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে বিল্লাল গ্রুপের কয়েকজন নওশাদকে মারধর করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে শাহাদাত গ্রুপের লোকজন এসে সমিতি ঘরের সামনে প্রতিপক্ষ ইমন, বাঁধন ও সুমনের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে ইমনের মাথায় কোপ লাগে এবং বাঁধনের হাত ভেঙে যায়।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের মালিক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমার চালক নওশাদকে প্রথমে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে আমি এলে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী জানান, মূলত আইসিইউ রোগী ভাগাভাগি ও বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর আগে শাহাদাত গ্রুপের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ রয়েছে।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মো. শিপন গণমাধ্যমকে বলেন, শাহাদাত গ্রুপ ঢামেক থেকে রোগী ভাগিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। এ নিয়ে ইমনসহ কয়েকজন আপত্তি করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সমিতি ঘরের সামনে হামলা চালান।

অভিযোগ অস্বীকার করে শাহাদাত বলেন, বুধবার রাতে জরুরি বিভাগের সামনে বিল্লাল, সুমন, নাসির, ইমন, দুলাল, শাফিনসহ আরও কয়েকজন আমাদের লোক নওশাদকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের মালিক আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে এলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও একপর্যায়ে মারামারি হয়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন,জরুরি বিভাগ ও সমিতি ঘরের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।