প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তারেক রহমান
- আপডেট সময় : ০৫:৩৫:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্পষ্ট বার্তা
দীর্ঘ প্রায় দুই দশক গণমাধ্যম থেকে দূরে থাকার পর অবশেষে মুখ খুললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমসাময়িক রাজনীতি এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন বিবিসি বাংলা-র সঙ্গে। গত সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) এই সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বটি প্রকাশিত হয়। এই সাক্ষাতকারে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়ার পাশাপাশি বহু আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের সময় দেশের জনগণের পাশে থাকার জোরালো ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
শীঘ্রই দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, “কিছু সঙ্গত কারণে হয়তো ফেরাটা এখনও হয়ে ওঠেনি। তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়। ইনশাআল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব।” ঠিক কবে ফিরছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ‘দ্রুতই’ বলে জানান।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি না হওয়ার কারণ
বিগত বছরগুলোতে গণমাধ্যমে অনুপস্থিত থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে তারেক রহমান বলেন, বিষয়টি আসলে এমন নয় যে তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি। তিনি উল্লেখ করেন, “আমি দীর্ঘ ১৭ বছর এই দেশে (যুক্তরাজ্যে) আছি। তবে আমার ওপর যখন দলের দায়িত্ব এসে পড়েছে, তারপর থেকে আমি তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি।”
তিনি আরও জানান, একটি স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আদালতের আদেশ দিয়ে তাঁর কথা বলার অধিকারকে সীমিত করার চেষ্টা হয়েছিল। গণমাধ্যম তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করতে চাইলেও হয়তো তা সম্ভব হতো না। তাঁর বক্তব্য বন্ধ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি থেমে থাকেননি। সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন উপায়ে তিনি জনগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন এবং সফলও হয়েছেন। তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, “আমি কথা বলেছি থেমে থাকিনি।”
নির্বাচনের সময় দেশে থাকার ইচ্ছা
দেশে প্রত্যাশিত নির্বাচনের আগে তিনি ফিরবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নির্বাচনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন হবে, তখন দূরে থাকা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা, ইচ্ছা, আগ্রহ থাকবে প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের পাশেই থাকব।”
নিরাপত্তা শঙ্কা প্রসঙ্গে উপস্থাপকের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নানা রকম শঙ্কার কথা শোনা গেছে, যা গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান: মাস্টারমাইন্ড জনগণ
গত বছরের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে অনেকেই স্বীকার করেন এবং কেউ কেউ তাঁকে অভ্যুত্থানের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড মনে করেন। এ প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, তিনি কখনোই নিজেকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখেন না। তিনি মনে করেন, এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বহু বছর আগে থেকেই তৈরি হচ্ছিল।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই আন্দোলন কেবল কোনো নির্দিষ্ট দল বা ব্যক্তির নয়। বিএনপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক নেতাকর্মী এই আন্দোলনে অবদান রেখেছেন এবং নির্যাতিত হয়েছেন। তাঁর মতে, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, গৃহিণী, সিএনজি চালক, দোকানদার, গার্মেন্টসকর্মী, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ দল-মত নির্বিশেষে সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের অবদান রয়েছে এই সফল আন্দোলনে।
তারেক রহমানের স্পষ্ট বার্তা: “এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড কোনো দল বা ব্যক্তি নয়, এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ।”
এই লেখাটি এখন আপনার পোর্টালে আপলোড করার জন্য সম্পূর্ণ কপিরাইট-ফ্রি এবং উপযুক্ত।
আপনার যদি আরও কোনো নিউজ থাকে, তাহলে আমাকে দিতে পারেন।