সমাচার ডেস্ক
সরকারের লোকদের লুটপাটের খবর একের পর এক বের হতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন,দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি পাচার করেছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের ঘনিষ্টজনরা। আজকে দুবাইয়ে অত্যন্ত দামি ৩৯৩টি বাড়ির খবর পাওয়া গেছে। দেশের সম্পদ লুট করে দুবাই বাড়ি বানাচ্ছে সরকারের লোকেরা। বর্তমান ডামি সরকার দেশটিকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শান্তিনগর বাজার এলাকায় উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দুবাই ৬৪৩টি সম্পদের খবর ছাপা হয়েছে। এ সম্পদের মালিক কারা, এই যে ব্যাংক লুটপাট করেছে, এই যে দেশের সম্পদ লুট করেছে, ফ্লাইওভার-পদ্মা সেতুর নামে টাকা লুট করেছে, এই টাকা দিয়েই তারা আজকে দুবাইয়ে বাড়ি বানাচ্ছে। সেই সংবাদ আজকে প্রকাশিত হয়েছে। এ খবর আর লুকানো যাচ্ছে না। সরকারের লোকদের লুটপাটের খবর একের পর এক বের হতে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, চারদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে এখন গোটা জাতিকে ফতুর করার জন্য একর পর এক আর্থিক খাত, সামাজিক খাত সব লুট করছে। প্রত্যেকটি খাতে এখন প্রচণ্ড নৈরাজ্য বিরাজ করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, একের পর এক ব্যাংক লুট হয়েছে, ব্যাংকগুলো ধসে গেছে। মন্ত্রীদের নামে, এমপিদের নামে ব্যাংক দিলেন। তারাইতো সব লুট করে ফেলেছে। এখন সরকার ভালো ভালো ব্যাংকের সঙ্গে সেগুলোকে মিশিয়ে দিতে চাচ্ছে। এভাবে তারা জনগণের টাকা, জনগণের সম্পদকে লুটপাট করেছেন, পাচার করেছেন। তাই সমস্ত বাংলাদেশের ব্যাংক যারা লুটাপাট করেছে, সেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে কি হচ্ছে, সেটি বাংলাদেশের মানুষকে জানতে দেওযা হচ্ছে না। সেখানে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যাতে সাংবাদিকরা সেখানে প্রবেশ করতে না পারে।’
রিজভী বলেন, গত পরশু দিন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি বিশাল অঙ্কের টাকা কোড হ্যাক করে লুট হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। এর কোনো উত্তর নেই। এর কোনো উত্তর দিতে পারে না সরকার। কারণ নিজেদের লোকেদের, নিজেদের মানুষদেরকে অর্থ লুটের সুযোগ করে দিতে এ ব্যবস্থা করেছে সরকার। আজকে বাংলাদেশের টাকা নেই। আজকে যে রিজার্ভ আমদানি করা যায়, যেটি দিয়ে ব্যবসা করা যায়, যেটি দিয়ে উন্নয়ন হবে, সে টাকা আজ শূন্যের দিকে। এর কী জবাব দিবেন শেখ হাসিনা? এর জবাব তিনি দিতে পারবেন না। কারণ তার লোকেরাই এটি করেছে। আজকে অভাবি মানুষ ঠোঙায় করে কোনোরকমে কয়েকটি শাক-সবজি নিয়ে বাড়িতে যায়, মাছ কিনতে পারে না, মাংস কিনতে পারে না। এক মণ ধান বিক্রি করে এক কেজি মাংস কেনা যায়। এ হলো দেশের অবস্থা।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বর্তমানে ডামি ভোটে নির্বাচিত সরকার হলো দখলদার সরকার। তাদের জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। জনগণের ভোটের কোনো দরকার হয় না তাদের। শেখ হাসিনা যাকে পছন্দ করবে, সেই হবে উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে নির্বাচনের নামে শুধু প্রহসন বা আনুষ্ঠানিকতা চলছে মাত্র, সুতরাং এ নির্বাচন বর্জন করুন। আপনারা যারা ঢাকায় আছেন, আপনাদের আত্মীয় স্বজনদের এ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক আহসান ও ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদসহ আরো অনেকে।