ঢাকা ০৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গহীন জঙ্গলে ইউপিডিএফ’র গোপন আস্তানার সন্ধান: অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার হত্যা মামলার অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল ৭৩ পর্যবেক্ষক সংস্থার অনুমোদন, ঠিকানায় অস্তিত্ব নেই অনেকের! প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তারেক রহমান গৌরনদী ও আগলঝাড়ার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন জহির উদ্দিন স্বপন! খুব শিগগিরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আমিরাতে নতুন ভিসা নীতি: এআই বিশেষজ্ঞসহ চার ক্যাটাগরি চালু “পিআরের নামে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে জামায়াত” — কায়সার কামাল শারদীয় পূজা ঘিরে গুজব কমেছে, কঠোর নজরদারিতে এনটিএমসি দোহায় হামলার ঘটনায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

নারী রাজনীতিতে কীভাবে আসবে, আসন কত পাবে, মাছের বাজারের মতো দরাদরি হচ্ছে: সামিনা লুৎফা

Songbad somachar
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
সংবাদ সমাচারের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নারী রাজনীতিতে কীভাবে আসবে, তার ভাগ্য কী হবে, আসন কত পাবে- এসব আলোচনা করছেন পুরুষেরা। মাছের বাজারের মতো দরাদরি করে এসব নির্ধারণ করা হচ্ছে।

আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘জাতীয় সংসদে নারী আসন ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা এসব কথা বলেন। এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো। এতে সংসদে নারী আসন নিয়ে ধারণাপত্র তুলে ধরেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতার।

ঐকমত্য কমিশনের কাছে খুব বেশি কিছু আশা করেননি জানিয়ে সামিনা লুৎফা বলেন, ‘কমিশনের মিটিংয়ে রাজনৈতিক দলগুলো গিয়ে ওখানে যখন কথা বলে, যে ছবি দেখি, যে পুরো একটা বয়েজ ক্লাব। এখানে চারদিক জুড়ে সব পুরুষেরা বসে আছে এবং তারা ওখানে বসে নারীর ভাগ্য নির্ধারণ করছে। আমরা খবর পাচ্ছিলাম, যে আপনারা যদি ১৫ চান, ১০ দিতে পারি। এটা কি মাছের বাজারে দরাদরি?’ তিনি আরও বলেন, ‘পুরুষেরা বসে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নারী কীভাবে রাজনীতিতে আসবে। এর চেয়ে হাস্যকর কিছু হতে পারে না।’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নারীকে তার মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সামিনা লুৎফা। তিনি বলেন, ‘মানবাধিকারের জায়গা থেকে বিবেচনা করলে, দলগুলো তা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর চেয়ে বড় ঐতিহাসিক ভুল বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো আর কখনো করেনি বলে আমার ধারণা। একই সঙ্গে সবাই মিলে একটা ভয়ংকর রক্ষণশীল অবস্থান নিলেন এবং এর দায় ও খেসারত তাদের দিতে হবে।’

প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি প্রসঙ্গে এই অধ্যাপক বলেন, ‘যখন এই কমিশনের মিটিং গুলো হচ্ছিল তখন আসলে গিয়ে ওইখানে ওনাদেরকে ঘেরাও দিয়ে বসে থাকতে হতো। তাহলে ওনারা বাধ্য হতেন আমাদের কথা শুনতে কিন্তু আমরা তো সেটা করি নাই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নারী রাজনীতিতে কীভাবে আসবে, আসন কত পাবে, মাছের বাজারের মতো দরাদরি হচ্ছে: সামিনা লুৎফা

আপডেট সময় : ১১:৫১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

নারী রাজনীতিতে কীভাবে আসবে, তার ভাগ্য কী হবে, আসন কত পাবে- এসব আলোচনা করছেন পুরুষেরা। মাছের বাজারের মতো দরাদরি করে এসব নির্ধারণ করা হচ্ছে।

আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘জাতীয় সংসদে নারী আসন ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা এসব কথা বলেন। এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো। এতে সংসদে নারী আসন নিয়ে ধারণাপত্র তুলে ধরেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতার।

ঐকমত্য কমিশনের কাছে খুব বেশি কিছু আশা করেননি জানিয়ে সামিনা লুৎফা বলেন, ‘কমিশনের মিটিংয়ে রাজনৈতিক দলগুলো গিয়ে ওখানে যখন কথা বলে, যে ছবি দেখি, যে পুরো একটা বয়েজ ক্লাব। এখানে চারদিক জুড়ে সব পুরুষেরা বসে আছে এবং তারা ওখানে বসে নারীর ভাগ্য নির্ধারণ করছে। আমরা খবর পাচ্ছিলাম, যে আপনারা যদি ১৫ চান, ১০ দিতে পারি। এটা কি মাছের বাজারে দরাদরি?’ তিনি আরও বলেন, ‘পুরুষেরা বসে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নারী কীভাবে রাজনীতিতে আসবে। এর চেয়ে হাস্যকর কিছু হতে পারে না।’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নারীকে তার মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সামিনা লুৎফা। তিনি বলেন, ‘মানবাধিকারের জায়গা থেকে বিবেচনা করলে, দলগুলো তা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর চেয়ে বড় ঐতিহাসিক ভুল বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো আর কখনো করেনি বলে আমার ধারণা। একই সঙ্গে সবাই মিলে একটা ভয়ংকর রক্ষণশীল অবস্থান নিলেন এবং এর দায় ও খেসারত তাদের দিতে হবে।’

প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি প্রসঙ্গে এই অধ্যাপক বলেন, ‘যখন এই কমিশনের মিটিং গুলো হচ্ছিল তখন আসলে গিয়ে ওইখানে ওনাদেরকে ঘেরাও দিয়ে বসে থাকতে হতো। তাহলে ওনারা বাধ্য হতেন আমাদের কথা শুনতে কিন্তু আমরা তো সেটা করি নাই।’