‘দিল্লির গোলামির শিকল ভেঙে খান খান করেছি ওয়াশিংটনের দাসত্ব করার জন্য নয়’

- আপডেট সময় : ০২:২৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫ ৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘আমরা একবার পিন্ডির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছিলাম। আমাদের দিল্লির দাসে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আবার ২০২৪ সালে আমরা দিল্লির গোলামির শিকল ভেঙে খান খান করেছি ওয়াশিংটনের দাসত্ব করার জন্য নয়।’
আজ শনিবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে আল্লামা মামুনুল হক এ কথাগুলো বলেন। বক্তব্যে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মিশন চালুর কঠোর সমালোচনা করেন খেলাফত মজলিসের এই নেতা।
মামুনুল হক বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের হাজার শহীদের রক্তের মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সরকার নতুন ষড়যন্ত্রের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ওয়াশিংটনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, যদি বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয় তাহলে এ দেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে। এ দেশের নির্বাচিত সরকার সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, কিন্তু তিন দিনের অস্থায়ী মেহমান সরকার জাতির এই নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো অধিকার রাখে না।’
খেলাফত মজলিস কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভাপতি মুফতি ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শারাফাত হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ।
গণ–অভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেন মামুনুল হক। আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিয়ে ঘোষিত রোডম্যাপ অনুয়ায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। নতুন বাংলাদেশ গড়তে সব রাজনৈতিক দলকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান খেলাফতে মজলিসের এই নেতা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে আল্লামা মামুনুল হক আগামী জাতীয় নির্বাচনে কুড়িগ্রামের চারটি আসনের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হিসেবে চারজনের নাম ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন কুড়িগ্রাম-১ আসনে শহিদুল ইসলাম (ফয়েজি), কুড়িগ্রাম-২ আসনে মুফতি নুরুদ্দীন (কাশেমী), কুড়িগ্রাম-৩ আসনে মামুনুর রশীদ ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মুফতি শাহাদত হোসাইন।