সমাচার ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূলে আঘাত হানবে, মধ্যরাতে বাংলাদেশ পার হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। আজ রোববার (২৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণলায় সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ৮ থেকে ৯ হাজার নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। সকাল পর্যন্ত উপকূলের ৫০ শতাংশ মানুষ এসব কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। দ্রুত অন্যদেরও কেন্দ্রগুলোয় অবস্থানের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, উপকূল এলাকায় গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার থাকবে। উপকূলীয় এলাকায় ১০ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাস হবে। এবং ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে সারাদেশ। এই বৃষ্টিতে পাহাড়ধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে।
সরকারি সকল দপ্তরের ছুটি বাতিল
মহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সরকারি সকল দপ্তরের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্বশস্ত্র বাহিনীসহ অন্য বাহিনীগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত দেশের ভেতরে নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত। সরকার মানুষের জান মালের নিরাপত্তায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আমরা প্রস্ততি নিয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ সকল মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। চিকিৎসা সামগ্রী, শুকনো খাবার আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তাল রয়েছে সাগর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের জানিয়েছে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা বা মধ্যরাতে মোংলার নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, খেপুপাড়া দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এরইমধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। যা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ ১৬ উপকূলীয় জেলা ও এর আশপাশের দ্বীপ-নিম্নাঞ্চলে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে।