ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ডেস্ক রিপোর্ট

ট্রাম্পের দক্ষিণ কোরিয়া সফর ঘিরে জল্পনা, সি ও কিমের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

​যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন বলে সিএনএনকে জানিয়েছেন তার প্রশাসনের তিনজন কর্মকর্তা। এই সফরটি এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (অ্যাপেক) বাণিজ্য সম্মেলনকে কেন্দ্র করে হচ্ছে, যা অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের শুরুতে গিয়ংজু শহরে অনুষ্ঠিত হবে। এই সফরে ট্রাম্প চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে জল্পনা চলছে।

সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা

​ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, অ্যাপেক সম্মেলনের ফাঁকে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি সি চিন পিং ট্রাম্পকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং ট্রাম্পও পাল্টা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। উভয় পক্ষই এই বৈঠককে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।

কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ

​ট্রাম্পের এই সফরটি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার সম্ভাব্য সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং ট্রাম্পকে অ্যাপেক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান এবং বলেন যে এটি কিমের সঙ্গে বৈঠকের জন্য একটি ভালো সুযোগ হতে পারে। ট্রাম্প নিজেও কিমের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, “আমরা তার সঙ্গে দেখা করতে মুখিয়ে আছি, আর সম্পর্ক আরও ভালো করব।”

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

​এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন সি ও কিম উভয়ের সঙ্গেই ট্রাম্পের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। সম্প্রতি বেইজিংয়ে কিম, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেন, “পুতিন ও কিম জং উনকেও আমার শুভেচ্ছা, যখন আপনারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত আছেন।” তিনি আরও বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে, ভারত ও রাশিয়াকে আমরা গভীর, অন্ধকারতম চীনের হাতে হারালাম।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ডেস্ক রিপোর্ট

ট্রাম্পের দক্ষিণ কোরিয়া সফর ঘিরে জল্পনা, সি ও কিমের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে

আপডেট সময় : ০৭:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

​যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন বলে সিএনএনকে জানিয়েছেন তার প্রশাসনের তিনজন কর্মকর্তা। এই সফরটি এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (অ্যাপেক) বাণিজ্য সম্মেলনকে কেন্দ্র করে হচ্ছে, যা অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের শুরুতে গিয়ংজু শহরে অনুষ্ঠিত হবে। এই সফরে ট্রাম্প চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে জল্পনা চলছে।

সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা

​ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, অ্যাপেক সম্মেলনের ফাঁকে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি সি চিন পিং ট্রাম্পকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং ট্রাম্পও পাল্টা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। উভয় পক্ষই এই বৈঠককে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।

কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ

​ট্রাম্পের এই সফরটি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার সম্ভাব্য সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং ট্রাম্পকে অ্যাপেক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান এবং বলেন যে এটি কিমের সঙ্গে বৈঠকের জন্য একটি ভালো সুযোগ হতে পারে। ট্রাম্প নিজেও কিমের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, “আমরা তার সঙ্গে দেখা করতে মুখিয়ে আছি, আর সম্পর্ক আরও ভালো করব।”

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

​এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন সি ও কিম উভয়ের সঙ্গেই ট্রাম্পের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। সম্প্রতি বেইজিংয়ে কিম, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেন, “পুতিন ও কিম জং উনকেও আমার শুভেচ্ছা, যখন আপনারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত আছেন।” তিনি আরও বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে, ভারত ও রাশিয়াকে আমরা গভীর, অন্ধকারতম চীনের হাতে হারালাম।”