ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরের চান্দনা কাঁচাবাজারে আগুন, ৩০–৩৫টি দোকান পুড়ে ছাই খরা, পানিসংকট ও অবহেলায় হুমকিতে উত্তরাঞ্চলের খাদ্যনিরাপত্তা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ৪১ রোহিঙ্গা। চাকসুর ভোটার তালিকায় আপত্তি জানানোর মেয়াদ বাড়ল ঝিনাইদহে ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার, দেয়ালে লেখা হত্যার কারণ। প্রকাশ্যে এসে ডাকসুর নির্বাচনী লড়াইয়ে ছাত্রশিবির রাজউকের প্লট জালিয়াতি: শেখ হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ যাত্রীবেশে অটোরিকশা চালককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা, পালালো দুর্বৃত্তরা প্রায় ৪৮ হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করলে চরম সীমা লঙ্ঘন হবে: আরব আমিরাতের হুঁশিয়ারি

পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করলে চরম সীমা লঙ্ঘন হবে: আরব আমিরাতের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • আপডেট সময় : ০৭:২৬:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সতর্ক করেছে, ইসরায়েল যদি অধিকৃত পশ্চিম তীরকে পুরোপুরি নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়, তা চূড়ান্ত সীমা লঙ্ঘনের সমতুল্য হবে। এমনটি করলে আব্রাহাম চুক্তির মূল চেতনাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে দেশটি।

ইউএই-এর জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক লানা নুসেইবেহ বলেন, “এ ধরনের পদক্ষেপ দ্বি–রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করবে।” প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষ (পিএ) আরব আমিরাতের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলি সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

নুসেইবেহের মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন ইসরায়েলের ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ পশ্চিম তীরের প্রায় চার-পঞ্চমাংশ ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল সেখানে প্রায় ১৬০টি বসতি গড়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দেখতে চায়, যেখানে প্রায় ৭ লাখ ইহুদি ও ৩৩ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করছে।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল—ইসরায়েল পশ্চিম তীরের কোনো অংশ নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা স্থগিত রাখবে।

নুসেইবেহ বলেন, “শুরু থেকেই আমরা আব্রাহাম চুক্তিকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা ও তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বৈধ আকাঙ্ক্ষার জন্য কূটনৈতিক সুযোগ হিসেবে দেখেছি। পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত ইউএই-এর জন্য চরম সীমা লঙ্ঘনের শামিল হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করলে চরম সীমা লঙ্ঘন হবে: আরব আমিরাতের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ০৭:২৬:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সতর্ক করেছে, ইসরায়েল যদি অধিকৃত পশ্চিম তীরকে পুরোপুরি নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়, তা চূড়ান্ত সীমা লঙ্ঘনের সমতুল্য হবে। এমনটি করলে আব্রাহাম চুক্তির মূল চেতনাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে দেশটি।

ইউএই-এর জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক লানা নুসেইবেহ বলেন, “এ ধরনের পদক্ষেপ দ্বি–রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করবে।” প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষ (পিএ) আরব আমিরাতের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলি সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

নুসেইবেহের মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন ইসরায়েলের ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ পশ্চিম তীরের প্রায় চার-পঞ্চমাংশ ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল সেখানে প্রায় ১৬০টি বসতি গড়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দেখতে চায়, যেখানে প্রায় ৭ লাখ ইহুদি ও ৩৩ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করছে।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল—ইসরায়েল পশ্চিম তীরের কোনো অংশ নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা স্থগিত রাখবে।

নুসেইবেহ বলেন, “শুরু থেকেই আমরা আব্রাহাম চুক্তিকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা ও তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বৈধ আকাঙ্ক্ষার জন্য কূটনৈতিক সুযোগ হিসেবে দেখেছি। পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত ইউএই-এর জন্য চরম সীমা লঙ্ঘনের শামিল হবে।”